Skip to main content

Featured

Top 10 High-Income Skills You Can Learn Online in 2025

"Top 10 High-Income Skills You Can Learn Online in 2025" Master These Skills to Build a Global Career from Anywhere Introduction: Why High-Income Skills Matter in 2025 The job market is evolving faster than ever. In 2025, it’s no longer about degrees—it's about skills. Whether you’re a student, a job seeker, or a stay-at-home parent, the digital world offers limitless opportunities to earn, grow, and lead. But not all skills are equal. High-income skills are those that can earn you $5,000 to $20,000 per month—or even more—once mastered. And the best part? Most of them can be learned online, without a university degree. This guide will walk you through the top 10 high-income skills you can learn in 2025, along with how to master them, which platforms to use, and how to turn them into income—step by step. 1. Artificial Intelligence & Machine Learning Why It’s High-Income: AI is powering everything—from chatbots to autonomous vehicles. Companies pay top dol...

কাঁচের ভিতর, ক্যামেরার ফাঁদ — ঢাকার গাড়ির MMS কেলেঙ্কারি-২



কাঁচের ভিতর, ক্যামেরার ফাঁদ — ঢাকার গাড়ির MMS কেলেঙ্কারি -২


অধ্যায় ১: সন্ধ্যার শহর

ঢাকার ব্যস্ত এক মোড়। সন্ধ্যার ট্রাফিক, ভ্যাপসা গরম, আর হেডলাইটের ঝলকানিতে ঝিম ধরা মানুষগুলোর মাঝে, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে একটি গাড়ি। সিলভার রঙের Toyota Premio। গ্লাস কালো ফিল্মে ঢাকা। বাইরের কেউ ভিতরের কিছু বুঝবে না, এমনটাই মনে হয়।

ভিতরে বসে আছে তামীম ও রাবেয়া।

তামীম বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র। কম্পিউটার সায়েন্সে ভালো ফলাফল, লম্বা ছেলেটা। রাবেয়া ইংরেজি বিভাগে পড়ে, তার হাসিতে ভরপুর চোখ।

তাদের সম্পর্ক দুই বছর ধরে। চুপিচুপি দেখা, হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন, আর মাঝে মাঝে এই গাড়িতে একটু নির্জন সময়—এই দিয়েই চলছিল তাদের প্রেম।

সেদিন বিকেলেও তেমনই দেখা। ধানমন্ডির এক অলিগলিতে রেস্টুরেন্টে খাওয়া শেষে রাবেয়া বলে, “আজ আর একটু সময় কাটাতে পারি না?”

তামীম রাজি হয়। তারা রওনা হয় ঢাকার এক অল্পচলাচল সড়কে, যেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কিছু সময় কাটানো যায়।


অধ্যায় ২: ক্যামেরার চোখ

গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল একটি পুরাতন বহুতলের পাশেই। আশেপাশে কিছু বাইকার ঘোরাফেরা করছিল। কেউ ফুড ডেলিভারি দিচ্ছে, কেউ ফোনে ব্যস্ত, কেউ হেডফোন কানে গুনগুন করছে।

এমনই একজন বাইকার হঠাৎ গাড়ির পিছনে এসে দাঁড়ায়।
কাঁচ কালো হলেও আলো-ছায়ার খেলা বোঝা যায়। মোবাইল ফোনটা সে গোপনে ধরে রাখে গ্লাসের দিকে। হয়তো সে নিয়মিত এমন ‘ফুটেজ’ তোলে, হয়তো সে প্রথমবার করছে।

ভিতরে রাবেয়ার হালকা হাসি, তামীমের হাত ধরা, একে অন্যের দিকে ঝুঁকে থাকা — এইসব মুহূর্তই ক্যামেরায় বন্দী হতে থাকে।

১ মিনিট, ২ মিনিট — ঠিক ১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে সে মোবাইলটা সরিয়ে নেয়। ভিডিওটি সে নাম দেয়: “Dhaka_car_secret_clip.mp4”

তারপর সে চলে যায়, কোনো শব্দ না করে।


অধ্যায় ৩: ভাইরাল বুলেট

সেদিন রাতেই ভিডিওটা চলে যায় এক WhatsApp গ্রুপে। ক্যাপশন — “ঢাকার গাড়ির ভিতরে লাইভ রোমান্স!”

পরের দিনে TikTok, ফেসবুক পেজ, Reel বানানো শুরু হয়।
"OMG! এই মেয়েটা তো আমাদের ইউনিভার্সিটির না?"
"এই ছেলেটা তো সেই তামীম!"

মানুষ লাইক দেয়, শেয়ার করে, হাসে, কিছু বলেও না।

রাবেয়ার এক বান্ধবী ভিডিও দেখে রাবেয়াকে ফরোয়ার্ড করে।
— “তুই তো কারে বলছিলি, এত রোমান্টিক!”
রাবেয়া থমকে যায়। সে ভিডিও প্লে করে।

গলার স্বর... হাসির ছায়া... চোখের বাঁক — তার নিজের!


অধ্যায় ৪: বিশ্বাসের মৃত্যু

রাবেয়া কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকে। হঠাৎ কাঁদতে শুরু করে। প্রথমে একলা, পরে জোরে জোরে। মা এসে জিজ্ঞেস করেন:
— “কি হয়েছে রাবেয়া?”

সে কিছু বলতে পারে না। মোবাইলটা ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

তামীমের কাছেও ভিডিও যায়। এক বন্ধু মজা করে বলে,
— “ভাই, তোরা তো সিনেমার হিরো-হিরোইন!”

তামীম কাঁদে না। তার চোখ কেবল শুন্যতায় তাকিয়ে থাকে।


অধ্যায় ৫: সমাজের রায়

পরদিন সকালেই ভিডিওটা চলে আসে রাবেয়ার পরিবারের সামনে। বাবা কিছু না বলে চুপ করে বাইরে চলে যান। মা বিছানায় বসে বলেন:
— “তুই আমাদের মুখ দেখাতে দিলি না।”

রাবেয়া কিছু বলতে চায়, কিন্তু তার গলায় শব্দ বের হয় না। সে জানে, সে ভিডিও করেনি, ছড়ায়নি — কিন্তু এই সমাজ বিচার করে ফল, প্রক্রিয়া নয়।

ইউনিভার্সিটির গ্রুপে চুপচাপ হলেও অনেকেই ভিডিও শেয়ার করছে নিজেদের ইনবক্সে।
“তুই দেখেছিস?”
“তাদের এই সাহস কিভাবে?”
“ক্লাসে ওদের সামনে কি মুখ দেখাবো?”

কিন্তু কেউ বলে না — ভিডিওটা কে তুলল?


অধ্যায় ৬: FIR

তামীম বুঝে যায়, এমন হলে আর চুপ থাকা চলবে না।
সে থানায় যায়, FIR করে — অভিযুক্ত নামহীন। ভিডিও ধারণ, ছড়িয়ে দেওয়া, আর ডিজিটাল সম্মানহানির মামলা।

সাইবার ইউনিট তদন্ত শুরু করে। TikTok ও ফেসবুক পেজ ট্র্যাক করে। প্রথম যে আইডিতে ভিডিওটা আপলোড হয়েছিল, সেটি একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট। কিন্তু মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে জানা যায়, সে ডেলিভারি বয়।

ধরা পড়ে ছেলেটা। সে বলে:
— “আমি শুধু মজা করে ভিডিও করেছি। ভাবিনি এতো বড় ব্যাপার হবে।”


অধ্যায় ৭: আদালত ও প্রতিবাদ

রাবেয়া এক নারী আইনজীবীর সাহায্যে কেস ফাইল করে।
তামীম পাশে দাঁড়ায়।
পত্রিকায় হেডলাইন হয়:
“গাড়ির কাঁচের আড়ালে, এক তরুণীর সম্মান লুট”

কিছু মিডিয়া বিকৃতভাবে প্রচার করে, কিন্তু কিছু প্রকৃতভাবেই বলে —
“আমরা কি কখনো সম্মতির মূল্য দিই?”
“ভিডিও না করলেও, ছড়িয়ে দেওয়া কি অপরাধ নয়?”


অধ্যায় ৮: বদলের শুরু

৬ মাস পর...
রাবেয়া একটি সংগঠন গড়ে তোলে — “ডিজিটাল সম্মান রক্ষা ফোরাম”
তামীম তার ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয়, স্লোগান —
“আমার সম্মতি, আমার নিরাপত্তা।”

তারা স্কুল-কলেজে যায়, মেয়েদের শেখায়:

  • ভিডিও রেকর্ডিং বুঝে করো না
  • নিজের মোবাইল সবসময় নিরাপদ রাখো
  • কারো কাছেই নিজের সম্মান হস্তান্তর করো না

উপসংহার

আজও ঢাকার ট্রাফিক চলে,
আজও গাড়ির ভিতরে বসে প্রেমিক-প্রেমিকা হাসে, সময় কাটায়।
কিন্তু এই গল্প মনে করিয়ে দেয়,
ভালোবাসার জন্য সম্মান জরুরি, কিন্তু সমাজের জন্য সচেতনতা আরও বেশি জরুরি।


🔍

  • ঢাকার গাড়ির MMS ভাইরাল
  • প্রেমিক প্রেমিকার ভিডিও কেলেঙ্কারি
  • গোপন ভিডিও ফাঁস
  • সম্পর্কের গোপন মুহূর্ত
  • সাইবার সম্মানহানি বাংলাদেশ
🏵️ গল্পটি ভালো লাগেলে শেয়ার করবেন,  আপনার মূল্যবান মন্তব জানাবেন 

Comments